আছো কিংবা নেই
নশ্বর নিটোল
কোন এক দিবাস্বপ্নে তুমি এসেছিলে,
যখন কাকেরা ডাকতে ডাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল,
আমার হাতের চুরুটের শেষ ছাইটুকু ঝরে গিয়েছিল আরও আগেই,
তুমি এসেছিলে , হঠাৎ সবকিছু যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
আকাশের সূর্যটা সাদা মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্যে,
সেই বটগাছটার পাতাগুলো সব নুইয়ে পড়েছিল।
সবগুলো মানুষের চোখের পলক যেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সুদীর্ঘ সময়ের জন্যে,
সমুদ্রের টেউগুলোর অবিরাম গর্জন সে মূহুর্তের জন্য থেমে গিয়েছিল।
ঘাসের ওপরের শেষ শিশির বিন্দুটাকে মাড়িয়েই তুমি এসেছিলে,
বিস্মৃত নয়নে তাকিয়ে প্রকৃতি দেখেছিলে সেখানে দাঁড়িয়েই,
তুমি কি সেদিন অপেক্ষা করছিলে কারো জন্যে?
নাকি তুমি খুঁজেছিলে কাউকে?
বিশ্বাস কর ,সেদিন আমি তোমার সামনে ছিলাম না!
দাঁড়িয়ে ছিলাম একলা দূরে বহুদূরে,
এত দূরে তো দৃষ্টি যায় না,
কিন্তু তোমাকে আমি দেখেছিলাম দিব্যদৃষ্টিতে,
শুধু দূর থেকে দেখেই যাচ্ছিলাম।
বিশ্বাস কর ,সেদিন আর কেউ দেখেনি তোমাকে!
শুধু আমিই দেখেছিলাম ,দেখেছিলাম দিব্যদৃষ্টিতে!
দেখবেই বা কি করে বল, তারা তো কবি নয়,
তোমারা তো শুধুই কবিদের কাছে আসো।
তাইতো তোমরা ওদের কাছে থাকো না,
তোমরা তো কবিদের খুঁজে নাও তাঁদের কলমের ছোয়ায়,
তোমরা তো কেবলই কবিতায়ই লুকিয়ে থাকো,
কখনো তো তোমরা বাস্তবে কবির স্পর্শ পাও না।
তুমি ছিলে ঐ অন্যসব কবিদের কল্পিত রূপসী মনবীর মত?
কিন্তু না, তুমি সেই সব অপ্সরী নারীদের মত ছিলে না,
তুমি রক্তশ্বেত বর্ণের অধিকারিণী ছিলে না ,ছিলে ঈষৎ তামাটে,
তোমার চোখদুটো পটলচেরা ছিলো না, কিন্তু তাতে লুকিয়ে ছিলো ভাষা,
তোমার ঠোঁট দুটো অত গোলাপী ছিলো না,নিকোটিনে কালো হয়ে গিয়েছিল তার সুগন্ধ ছড়িয়ে;
তবু তুমি ছিলে আমার কবিতায়
আছো আজও।
যখন গভীর রাতে একা জানালায় বসি, চাঁদটাতে তাকলেই তোমাকে দেখতে পাই,
যখন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠি, জমে থাকা বৃষ্টির ফোঁটায় তোমাকে দেখতে পাই,
যখন ভুল করে ওদিকটায় যাই , দেখি এখনও হেঁটে যাচ্ছ সেপথেই।
আচ্ছা ,যদি ডাকদেই তোমাকে ?ফিরে কি তাকাবে তুমি ?
যদি চাই একটু আলতো ঠোঁটের স্পর্শ ,দেবে কি?
আমি জানি তুমি নেই , কেবলই কল্পনাতেই আসো,
আমি জানি তুমি নেই ,শুধু স্বপ্নেই হাত বাড়িয়ে ডাকো,
তবু মনহয় তুমি এখানেই আছ, যখন যেখানেই থাকি না কেনো,
"এইতো আমি তোমার পাশে, " আড়াল থেকেই বলে ওঠো।
কিন্তু আমি জানি তুমি নেই,
তুমি আমার সাথে থাকো না, তুমি থাকো আমার কবিতায়,
তুমি নেই ,তবু না থেকেও আছো এখানেই ।
নশ্বর নিটোল
কোন এক দিবাস্বপ্নে তুমি এসেছিলে,
যখন কাকেরা ডাকতে ডাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল,
আমার হাতের চুরুটের শেষ ছাইটুকু ঝরে গিয়েছিল আরও আগেই,
তুমি এসেছিলে , হঠাৎ সবকিছু যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
আকাশের সূর্যটা সাদা মেঘের আড়ালে লুকিয়ে গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্যে,
সেই বটগাছটার পাতাগুলো সব নুইয়ে পড়েছিল।
সবগুলো মানুষের চোখের পলক যেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সুদীর্ঘ সময়ের জন্যে,
সমুদ্রের টেউগুলোর অবিরাম গর্জন সে মূহুর্তের জন্য থেমে গিয়েছিল।
ঘাসের ওপরের শেষ শিশির বিন্দুটাকে মাড়িয়েই তুমি এসেছিলে,
বিস্মৃত নয়নে তাকিয়ে প্রকৃতি দেখেছিলে সেখানে দাঁড়িয়েই,
তুমি কি সেদিন অপেক্ষা করছিলে কারো জন্যে?
নাকি তুমি খুঁজেছিলে কাউকে?
বিশ্বাস কর ,সেদিন আমি তোমার সামনে ছিলাম না!
দাঁড়িয়ে ছিলাম একলা দূরে বহুদূরে,
এত দূরে তো দৃষ্টি যায় না,
কিন্তু তোমাকে আমি দেখেছিলাম দিব্যদৃষ্টিতে,
শুধু দূর থেকে দেখেই যাচ্ছিলাম।
বিশ্বাস কর ,সেদিন আর কেউ দেখেনি তোমাকে!
শুধু আমিই দেখেছিলাম ,দেখেছিলাম দিব্যদৃষ্টিতে!
দেখবেই বা কি করে বল, তারা তো কবি নয়,
তোমারা তো শুধুই কবিদের কাছে আসো।
তাইতো তোমরা ওদের কাছে থাকো না,
তোমরা তো কবিদের খুঁজে নাও তাঁদের কলমের ছোয়ায়,
তোমরা তো কেবলই কবিতায়ই লুকিয়ে থাকো,
কখনো তো তোমরা বাস্তবে কবির স্পর্শ পাও না।
তুমি ছিলে ঐ অন্যসব কবিদের কল্পিত রূপসী মনবীর মত?
কিন্তু না, তুমি সেই সব অপ্সরী নারীদের মত ছিলে না,
তুমি রক্তশ্বেত বর্ণের অধিকারিণী ছিলে না ,ছিলে ঈষৎ তামাটে,
তোমার চোখদুটো পটলচেরা ছিলো না, কিন্তু তাতে লুকিয়ে ছিলো ভাষা,
তোমার ঠোঁট দুটো অত গোলাপী ছিলো না,নিকোটিনে কালো হয়ে গিয়েছিল তার সুগন্ধ ছড়িয়ে;
তবু তুমি ছিলে আমার কবিতায়
আছো আজও।
যখন গভীর রাতে একা জানালায় বসি, চাঁদটাতে তাকলেই তোমাকে দেখতে পাই,
যখন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠি, জমে থাকা বৃষ্টির ফোঁটায় তোমাকে দেখতে পাই,
যখন ভুল করে ওদিকটায় যাই , দেখি এখনও হেঁটে যাচ্ছ সেপথেই।
আচ্ছা ,যদি ডাকদেই তোমাকে ?ফিরে কি তাকাবে তুমি ?
যদি চাই একটু আলতো ঠোঁটের স্পর্শ ,দেবে কি?
আমি জানি তুমি নেই , কেবলই কল্পনাতেই আসো,
আমি জানি তুমি নেই ,শুধু স্বপ্নেই হাত বাড়িয়ে ডাকো,
তবু মনহয় তুমি এখানেই আছ, যখন যেখানেই থাকি না কেনো,
"এইতো আমি তোমার পাশে, " আড়াল থেকেই বলে ওঠো।
কিন্তু আমি জানি তুমি নেই,
তুমি আমার সাথে থাকো না, তুমি থাকো আমার কবিতায়,
তুমি নেই ,তবু না থেকেও আছো এখানেই ।
✋✋
উত্তরমুছুন